বগুড়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে পুলিশ জামায়াত শিবিরের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এরা সবাই নাশকতা মামলার আসামী। এদের মধ্যে শাজাহানপুর উপজেলায় জামায়াতের সেক্রেটারী হাসান আলী (৪৫) রয়েছেন।
এছাড়াও ঢাকায় এএসআই ইব্রাহিম হত্যা মামলার প্রধান আসামী আদমদিঘি উপজেলার ছাত্র শিবিরের সভাপতি এনামুল হকের বাড়ি তল্লাশী চালিয়ে বেশকিছু জিহাদি বইপত্র উদ্ধার করা হয়।
আদমদিঘি থানার ওসি শওকত কবির জানান, শনিবার গভীর রাতে পুলিশ জামায়াতের ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো উপজেলার শহরপুর গ্রামের আবু তালেবের ছেলে সুলতান মাহমুদ মুকুল (৪০), আব্দুল করিমে ছেলে আবু সাঈদ (২৮), কুসুম্বি গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪২) ও বছিপোড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মোকলেছুর রহমান (৫০)।
এছাড়াও ঢাকায় এএসআই ইব্রাহিম হত্যা মামলার আসামী আদমদীঘি উপজেলার শিবিরের সাবেক সভাপতি এনামুল এর বাড়ি তল্লাসী করে বেশকিছু বই উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আসামীরা নাশকতা মামলার আসামী।
শাজাহানপুর থানার এসআই আমিরুল জানান, শনিবার সন্ধ্যায় শাজাহানপুর উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে পুলিশ জামায়াতের সেক্রেটারী হাসান আলী (৪৫)সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। হাসান আলী উপজেলার ডোমনপুকুর নতুনপাড়ার গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
অন্যরা হলেন, শাজাহানপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর ও মঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সালামের দুই ছেলে মুজাহিদ ও হাসান এবং তার জামাতা ডুমুনপুকুর গ্রামের আবু জাফরের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, মাদলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর গাজিউর রহমান এবং উপজেলা জামায়াতের রোকন ডা. হেলাল উদ্দিন।
শাজাহানপুর থানার এসআই আমিরুল জানান, গ্রেফতারকৃতদেরকে নাশকতার ৫ মামলায় আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এর আগে ঢাকায় পুলিশের এএসআই ইব্রাহীম হত্যা মামলায় গত ২৩ অক্টোবর বগুড়া থেকে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে আদমদিঘি থেকে চারজন এবং বগুড়া রেলগেট-সংলগ্ন পুরান বগুড়া এলাকার মসজিদ ছাত্রাবাস থেকে ২১ জন তরুণকে গ্রেফতার করা হয়। এই ছাত্রাবাসেই থাকতেন ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া মাসুদ। গ্রেপ্তার ২১ জনের বেশির ভাগই সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্র।
বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এই ২১ জন শিবিরের কর্মী বলে তাঁদের কাছে তথ্য রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ অক্টোবর ১৫/ সালাহ উদ্দীন