বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। মেয়র প্রার্থী থেকে শুরু করে কাউন্সিলর প্রার্থীদের শুভেচ্ছা পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর শহর। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমর্থন ও দোয়া চাইছেন। কোন কোন প্রার্থী পাড়া মহল্লায় বিভিন্ন সভা-সমাবেশের মাধ্যমে তার পক্ষে ভোট টানার কৌশলে নেমেছেন। চেষ্টা চলছে দলীয় সমর্থন আদায়ের।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার আয়তন ৩.৫৭ বর্গ কিলোমিটার, লোকসংক্রা রয়েছে ১৭ হাজার ৩২০ জন, ওয়ার্ড রয়েছে ৯টি। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় আলোচনা চলছে নির্বাচনের। চায়ের টেবিলে চলছে ভোট দেওয়া-নেওয়ার নানা গল্প। পৌর নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানা কথা বলে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় প্রার্থীতার ক্ষেত্রে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা সারিয়াকান্দি পৌর এলাকায় জোরেসোরে বইতে শুরু করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় প্রার্থী আলমগীর শাহী সুমনের নাম চূড়ান্ত করা হলেও আওয়ামী লীগের আরও দুইজন সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ সরদার ও থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ ফারাজী।
আলমগীর শাহী সুমন সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পৌর এলাকায় তার নামে দলীয় নেতাকর্মীরা গণসংযোগ শুরু করছেন। বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম রেজাউল করিম মতিন মন্ডল ও পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফুল।
সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব টিপু সুলতান ও বি.টি.সি.এল এর সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় ভোটারদের সঙ্গে মত বিনিময় শুরু করেছেন। কোন কোন সম্ভাব্য প্রার্থী ব্যক্তিগত দান-অনুদান প্রদান সহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন। পৌরসভার ভোটারগণ অনেকটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন মেয়র নির্বাচিত করা নিয়ে। সচেতন ভোটারগণ যোগ্য প্রার্থী বাছাই করেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে একাধিক ভোটার মত প্রকাশ করেন। এদিকে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণায় প্রার্থীরা দলীয় হাইকমান্ডের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে এক ধাপ এগিয়ে যাবেন বলে ভাবছেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ নভেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ