রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে (১৪) গণধর্ষণের অভিযোগে মো. শাহ আলম (২২) নামের এক আসামিকে ২ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার রাঙামাটির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকন উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন। এসময় পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ডে আবেদন করেন। কিন্তু আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কাপ্তাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার সামন্ত এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ভোর ৫টায় দিকে কাপ্তাই উপজেলার শহীদ মোয়াজ্জেম সড়কে হাটতে বের হয় (চাকমা)। হঠাৎ একটি অটোরিক্সা তাঁর গতিরোধ করে। এসময় সিএনজি চালক ও তার চার সহযোগী জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে সড়কের পাশ্বস্থ জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে জঙ্গলে ফেলে চলে যায়। পরে সকাল প্রায় ৭টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে এসে তার খালাকে বিষয়টি জানায়। পরে তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনার ক্ষতিগ্রস্থ ছাত্রীর মা পূর্ণদেবী চাকমা বাদী হয়ে কাপ্তাই উপজেলা থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে।
কাপ্তাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার সামন্ত জানান, গত বুধবার ভোরের দিকে কাপ্তাইয়ের শহীদ মোয়াজ্জেম সড়কে ধর্ষণ ঘটনার পর রাতে চার জনকে আসামি করে ধর্ষিতার মা থানায় মামলা দেন। একই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে মূল আসামি মো. শাহ আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এজাহারভুক্ত শাহ আলম (২২), পিতা- আবদুল মতিন। পুলিশ বাকি আসামিদের গেফতার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, এঘটনার অভিযুক্ত চার জনের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিনা চাকমা
বিডি-প্রতিদিন/১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব