জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিন শিবির নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসময় পুলিশের এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ বলছে, বন্দুকযুদ্ধে শিবির নেতারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মারাত্মক আহত অবস্থায় শিবির নেতাদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশি অস্ত্রসহ এক জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, র্যাবের হাতে আটক জয়পুরহাট শিবিরের জেলা সভাপতি ও সেক্রেটারিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর শুক্রবার ভোরে তাদের নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের জাপাইর গ্রামের ওসমানের কবরস্থানে পৌঁছলে সেখানে ওৎ পেতে থাকা জামায়াত ও শিবির কর্মীরা পুলিশের ওপর আক্রমন চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় গ্রেফতারকৃত শিবির নেতারা পালানোর চেষ্টা করলে গ্রেফতারকৃত জয়পুরহাট জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আবুজার গিফারী ও সেক্রেটারী ওমর ফারুকসহ আরেক শিবির নেতা আল আমিন গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় জামায়াত-শিবিরের হামলায় পাঁচবিবি থানার এসআই আমিনুলসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি শার্টার গান, তিনটি রাম দা ও একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধারসহ কুশুম্বা ইউপি জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. সুজাউল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
গুলিবিদ্ধ আল আমিনও আগে থেকে পুলিশের কাছে আটক ছিল বলে জানা গেছে।
গুলিবিদ্ধ জেলা শিবিরের সভাপতি আবুজার গিফারী (২৮) সদর উপজেলার তুলাট গ্রামের হামিদুর রহমানের পুত্র, শিবিরের সেক্রেটারি ওমর ফারুক (২২) জয়পুরহাট সদর উপজেলার তেঘরবিশা গ্রামের আ. ওহাবের ছেলে ও শিবির নেতা আল আমিন (২৫) জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বেসখন্ড গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে।
উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার ভোরে জয়পুরহাট জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আবুজার গিফারী, সেক্রেটারি ওমর ফারুককে পাঁচবিবি উপজেলার কদমতলী এলাকা থেকে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা দুইটি বিদেশি রিভলবার, ২১টি ককটেল, ৬টি দেশি বোমা ও কয়েকটি মোবাইল সেটসহ আটক করেছিল।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ