আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, 'বিএনপি-জামায়াত ৫ জানুয়ারির পরে আন্দোলনের নামে গণহত্যা করেছে। পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে।'
আজ শনিবার ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে যারা গণহত্যা করেছে তাদের হত্যাকারী বলতে হবে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হতো। যারা দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু তাদের সঙ্গে আপোষ করা যায় না।’
তিনি বলেন, ঝালকাঠি প্রেসক্লাব এখানকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী। মুক্তিযুদ্ধের ৫ বছর আগে ঝালকাঠি প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
আমু আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা সত্য কথা লিখবে, এটাই স্বাভাবিক। সত্যকে সত্য বলতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এ কথাগুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য খাত, সেতু-কালভার্ট, রাস্তাঘাট সবই শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে হয়।’
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ সময় তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িতকা ও অপরাধের জঞ্চাল থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করে আলোর পথে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। ১৪ দলের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে নিরাপদে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। যুদ্ধাপরাধীরা এটা চায় না। তারা এখনো সক্রিয়। যারা দেশ স্বাধীন হোক চায়নি, তারাই জঙ্গিবাদের মদদ দিচ্ছে।’
সকালে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী মঞ্চে জাতীয় পতাকা, প্রেসক্লাবের পতাকা ও সুবর্ণজয়ন্তীর পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন উড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তি উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শোভাযাত্রায় সাংবাদিক, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অংশ নেয়। পরে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাংবাদিকদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলম, পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান।
বিডি প্রতিদিন/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/এনায়েত করিম