বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে বিএনপি।
সোমবার সকালে ২০১০ সালে সিরাজগঞ্জে মুলিবাড়িতে ট্রেন পোড়ানো মামলায় জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ ড. জাফরুল হাসান জামিন নামঞ্জুর করে টুকুকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তাকে প্রিজনভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, কারাগারের নেয়ার পরপরই বিএনপি প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মিছিল করে মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করা হয়েছে।
এদিকে, টুকুর আত্মসমর্পনের খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী আদালতে ভিড় জমায়। পুলিশ কড়া নিরাপত্তা গ্রহন করে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ছাত্রদল নেতা শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের মৃত্যু বার্ষিকীতে ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদের মুলিবাড়ি রেলক্রসিংয়ের পাশে ছাত্র গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান ছিলেন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। সমাবেশ চলাকালে দ্রুতগতির একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বিএনপির ছয় কর্মী নিহত হয়। দলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. গোলাম হায়দার, সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক কে.এম সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন র্যাব-১২ এর ডিএডি আবু বকর সিদ্দীক, বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানার এসআই আসলাম আলী, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর জিআরপি থানার এএসআই গোলাম তৌহিদ, সিরাজগঞ্জ বাজার জিআরপি থানার এএসআই কাজী মো: সাইদুর রহমান বাদী হয়ে মোট সাতটি মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। টুকুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, একটি মামলা অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও তিনটি মামলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চলমান রয়েছে। এর মধ্যে টুকু আদালতে হাজির হয়ে তিনটি মামলায় জামিন আবেদন করেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ