উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করলেও এখন নিচে নেমে গেছে। শনিবার দিবাগত রাতে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের (৫২.৪০ সে.মি.) চেয়ে দশমিক ২ সেন্টিমিটার কম।
এর আগে শুক্রবার (৩০ জুন) রাত থেকে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার বিকাল ৩টায় জেলার ডিমলা উপজেলার ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা বরাবরে প্রবাহিত হয়। ওই পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার।
তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করলেও শনিবার বিকেল থেকে কমতে শুরু করে তিস্তার পানি প্রবাহ। রাত সাড়ে ৮টায় বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়।পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমু্লা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, গতকাল সকালে নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশপুকুর, পূর্ব বাইশপুকুর, সতিঘাট গ্রামের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। দুপুরের পর থেকে পানি কমতে শুরু করলে স্বস্তি ফিরে। এসব গ্রামের পরিবারগুলো আবারও পানি বাড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।
একই উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের ঝাড়শিংহেশ্বর গ্রামের ৫০ পরিবারের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। এসব পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। নদী বেষ্টিত ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে বলে জানান তিনি।
ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, নদীর পানি প্রবেশ করায় ইউনিয়নের ফরেস্টের চর গ্রামের ১৫ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ২ জুলাই, ২০১৭/ ই জাহান