জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এনসিপি কিভাবে বড় দল হয় বলে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও টিভি উপস্থাপক জিল্লুর রহমান। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে আবারও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে ডেকেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রথম দিন চারটি রাজনৈতিক দল নিয়ে বসলেন। তার পরে আবার ১৩টি রাজনৈতিক দল নিয়ে আজকে বৈঠক করলেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই বৈঠকের মানে কী? বৈঠক থেকে কী বার্তা পেলাম? আমরা আইন উপদেষ্টার মুখে শুনেছি, তারা জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন। কী বিষয়ে জাতীয় ঐক্য? বলছেন যে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। জামায়াত, বিএনপি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্য সব দলকে এক থাকতে হবে। মানে এটা তো কোনোভাবেই আমি মনে করি না একসেপ্টেবল আবদার।
তিনি আরও বোলেণ, আমরা দেখলাম যে আইন উপদেষ্টা বলছেন- প্রথম দিনের বৈঠকে দেশের বড় চারটি দলকে ডাকা হয়েছে। আমার প্রশ্ন, কিভাবে সরকার নির্ধারণ করল এই চারটি দলই বড় দল। অতীতের নির্বাচনের ভিত্তিতে জনসমাগমের ভিত্তিতে এর মধ্যে একটা দল এনসিপি তো নিবন্ধিতই নয় । এনসিপিকে বড় দল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দিল; যাদের অনেক জেলায় কমিটি নেই, যাদের সভায় এখন তেমন লোক হয় না।
জিল্লুর রহমান বলেন, এছাড়া জামায়াত বা ইসলামী আন্দোলনকেও কি আপনি বিএনপির সঙ্গে তুলনা করেন? হ্যাঁ, বড় দল বললে আপনি বলবেন বিএনপিকে, যদি আপনি দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে রাখতে চান, সেটা আপনি জাতীয় পার্টি এবং জামায়াতে ইসলামীকে রাখতে পারেন। কিন্তু জাতীয় পার্টিকে তো ডাকা হলো না, জাতীয় পার্টি তো নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম না হয় স্থগিত বা আওয়ামী লীগকে হয়তো এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেটা না হয় মেনে নেওয়া গেল; কিন্তু আমার প্রশ্ন- বড় দলের কাতারে কিভাবে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, বিএনপি এবং এনসিপি একসঙ্গে বসে। সরকার পাবলিকলি যে চারটি বড় দলকে ডেকেছে, বাকিদের সবার ভোট-সমর্থন যোগ করলে বিএনপির সমান হয় বা আওয়ামী লীগের সমান; এমনকি জাতীয় পার্টির সমান হবে না।’
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ