মাদারীপুরের কালকিনিতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছে বখাটেরা। ওই ছাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ধর্ষিত ছাত্রীর বাড়ি গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর এলাকায়। এ ঘটনায় প্রধান ধর্ষকের বাবা-মাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আজ বিকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জনা গেছে, গৌরনদী সরকারি কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সাথে খাঞ্জাপুর গ্রামের রাজ্জাক আকনের ছেলে রিফাত আকনের দীর্ঘদিন ধরে মন দেয়া-নেয়া চলছিল। এর সূত্র ধরে লম্পট রিফাত বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই ছাত্রীকে কালকিনি উপজেলার কাজীবাকাই এলাকার মাইজপাড়া গ্রামের একটি নির্জন বাগানে বেড়াতে নিয়ে যায়। এসময় তাকে চেতনা নাশক ওষধ খাইয়ে অজ্ঞান করে রিফাত আকনসহ তার ৪-৫ বন্ধু মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে করে ওই ছাত্রী পুরোপুরি অসুস্থ হয়ে পড়লে রিফাত আকন কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে রিফাত আকনের বাবা রাজ্জাক আকন ও তার মা রেহেনা বেগম ঘটনা জানতে হাসপাতালে আসলে কালকিনি থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করেন।
কালকিনি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসা ডা. খায়রুল আলম মোল্লা বলেন, অসুস্থ অবস্থায় এক কলেজছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। মেডিকেল পরীক্ষার পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার এএসআই মো. শাহআলম বলেন, কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় রিফাত আকনকে না পেয়ে তার বাবা-মাকে আটক করেছি।
মাদারীপুর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিম সুপার সুমন দেব বলেন, অসুস্থ অবস্থায় এক কলেজছাত্রীকে কালকিনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ছাত্রী অসুস্থ থাকায় কথা বলতে পারছে না। আমরা তদন্তের পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার