বাগেরহাটে খালের কচুরিপানা অপসারণের জন্য কৃষককের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে শতাধিক কৃষক।
রবিবার সকালে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যশনাল ও বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের প্রতিনিধির মাধ্যমে বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের উৎকুল গ্রামের শতাধিক কৃষক গ্রামরে মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জুগীখালী খালের শাখা খালে কচুরিপানা ও আবর্জনা অপসারণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গণসাক্ষর সংগ্রহ করে আবেদন করে।
কৃষকরা জানায়, সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের উৎকুল গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জুগীখালী খালের শাখা প্রায় এক কিলোমিটার প্রবাহিত। এই এলাকায় ব্যপক ভাবে বিষমুক্ত সবজি, ধান ও মাছের চাষ করা হয়। পূর্বে এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল নৌকায় করে আনা নেওয়া করতেন কিন্তু এই খালটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এখন ভ্যান বা ট্রাকে কররে সেই ফসল আনা নেওয়া করতে হয় যা অনেক ব্যায়বহুল। এছাড়া চিংড়ি ও ধান চাষীরা মাছের ঘেরে এবং জমিতে অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পায় না। জুগীখালী খালের এই শাখা খালের উপর প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষ্য ভাবে জড়িত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য দীপক সাহা জানান, খালটিতে কচুরিপানা ও আবর্জনা জমে পানির প্রবাহ অনেক কমে গেছে। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি সরতে পারে না এবং এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া খালটির উপর শুধুমাত্র ৫ শতাধিক কৃষক জড়িত নয় তাদের পরিবারের ভাগ্যও জড়িত। এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন জড়িত। এজন্য খালটির কচুরিপানা ও আবর্জনা অপসারণ করা অত্যন্ত জরুরী।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যশনালের ফেলো ও বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরুল কায়েস বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কৃষকদের সহয়তার জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে কৃষিক্ষেত্রে আজ বাংলাদেশে অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় কৃষকের সার্থ রক্ষায় কাজ করেছে। বাগেরহাট সদর উপজেলার এই খালটির সাথে অনেক কৃষক সম্পৃক্ত। ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যশনাল এর সহয়তায় কৃষকদের এই সমস্যাটি নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের প্রতিনিধি হিসাবে আমি চেষ্টা করছি।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল হাফিজ বলেন, কৃষকেরা গণস্বাক্ষররের মাধ্যমে খালের কচুরীপানা অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমার কাছে আবেদন করেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমরা দেখছি। সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন