ভারি বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলা ধোবাউড়ায় নিতাই নদীর বাঁধ ভেঙে ৫টি ইউনিয়নের ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। স্রোতে ভেসে গেছে কয়েক শত বাড়ি। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতা হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রমও হচ্ছে ব্যাহত। সব মিলিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে পানিবন্দী অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত তিন দিনের অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের ২০টি, গামারীতলা ইউনিয়নের ২০টি, পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের ২৫টি, ঘোঁষগাও ইউনিয়নের ৫টি এবং আজ নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে গোয়াতলা ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রাম। শনিবার পাহাড়ি ঢলের স্রোতে দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে ভাসিয়ে নিয়ে যায় বেশ কয়েকটি কাঁচা ঘরবাড়ি, গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি। শ্রেণিকক্ষে পানি উঠে পড়ায় ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের আব্দুল খালেক জানান, ''বাড়ি-ঘর যা আছিন সব পানির তলে। অহন পর্যন্ত সরকারী কোনো সাহায্য পাইছিনা। কেউ আইছেওনা। নাতি নাতকর পোলাপার লইয়া খুব কষ্টে আছি গত আষ্ট (আট) দিন ধইরা।''
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজনু মৃধা জানান, স্থানীয় এমপি ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের মাঝে কিছু শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।
তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং জানান, এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাঁধ ভেঙে যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে সেই এলাকায় স্থায়ীভাবে বাঁধ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ আগস্ট, ২০১৭/মাহবুব