কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রংপুরের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। মহানগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি পাড়া ও মহল্লার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
পানি উঠেছে নগরীর প্রধান সড়কসহ বাড়িঘরে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। দিনমজুরদের অবস্থা আরো দুর্বিষহ।
জানা গেছে, অবিরাম বর্ষণে মহানগরীর বানিয়াপাড়া, দেওডোবা, টার্মিনাল, কামারপাড়া, আদর্শপাড়া, মুলাটোল, বৈরাগী পাড়া, কামাল কাছনা, তাজহাট, কেরানীপাড়া স্টেশন, সর্দারপাড়া, ধর্মদাস, মিলনপাড়া, আরাজী তামাপাট, হোসেন নগর, রাজু খাঁ, মেকুড়া, পার্কের মোড়, মর্ডান মোড়, বালাটারি, কুকরুল, মিস্ত্রিপাড়া, জুমাপাড়া, হনুমানতলা, খাসবাগ, বাবু খাঁ, গণেশপুর, তামপাট, দর্শনা, আক্কেলপুর, ভুরারঘাট, নজিরেরহাট, সিও বাজার, মন্থনা, খটখটিয়া, কুকরুল, সিগারেট কোম্পানি, বোতলাসহ নগরীর অন্তত ৭০টি পাড়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ হাজার পরিবার।
এ ছাড়া মহানগরীর স্টেশন রোড, কলেজ রোড, জিএল রায় রোড, সেন্ট্রাল রোড, কাচারী বাজার, জাহাজ কোম্পানি, মোড় পায়রা চত্বর, কোতোয়ালি থানার সামনে, জীবন বীমা মোড়সহ মেয়রের বাড়ির সামনে, লালবাগ, কেডিসি রোড, চারমাথা মোড়সহ নগরীর প্রধান প্রধান বেশ কয়েকটি সড়ক ও বাড়িঘর তলিয়ে গেছে।
অন্যদিকে, নগরীর বর্ধিত ১৮টি ওয়ার্ডের বেশির ভাগ এলাকায় এখন হাঁটুপানি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বাড়িঘরে পানি ওঠায় মানুষ আছেন চরম দুর্ভোগে। পানির কারণে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে হোসেননগর নামে একটি মৌজার ১০ হাজার মানুষ তিন দিন থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ। তিনি এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ আগস্ট, ২০১৭/ওয়াসিফ