তিন দিনের টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে দিনাজপুরে দেখা দিয়েছে বন্যা। জেলার আত্রাইসহ সবক'টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকা। দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়া রেলপথ ডুবে সারাদেশের সঙ্গে দিনাজপুরের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ। এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির মধ্যে দুর্গত মানুষদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছে জেলা প্রশাসন।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আত্রাই নদীর কোন ঘেঁষা মাঝিপাড়া ৩, ২, ১, সুন্দরবনে ওয়ার্ডগুলো অধিকাংশ বাড়িতে হাটু পর্যন্ত পানি মাটির কাঁচাঘর পড়ে গেছে। খোসালপুর বানডাঙ্গা গ্রাম, উচ্চভিটা, ধুপিতলা, পাকরপাড়া, কামারপাড়া, তেলীপাড়া, কালিকাপুর। এই পরিস্থিতি গত এক যুগে হয়নি বলে এটিকে স্মরণকালের বন্যা বলছেন স্থানীয় জন-প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে, দিনাজপুরের পূর্ণভবা নদী, আত্রাই নদী, চিরিরবন্দরের ইছামতি নদী, ফুলবাড়ীর ছোট যমুনা নদী, পার্বতীপুর ও নবাবগঞ্জের করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে। তবে আর বৃষ্টিপাত না হলে পানি দ্রুত নেমে যাবে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী কর্মকর্তা অরজিৎ কুমার রায় জানান, মৌসুমী আবহাওয়ার লঘু নিম্নচাপ প্রবাহিত হওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫০.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১৪ আগস্ট ২০১৭/আরাফাত