বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চামরুল গ্রামে যৌতুকের কারণে এক গৃহবধূর মাথার চুল কেটে দেওয়ায় অভিযোগে পুলিশ স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত স্বামী বজলুর রহমান (২৮) ও শ্বশুর শাজাহান আলী (৪৮) চামরুল গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, তিন বছর আগে উপজেলার জিয়ানগর বালুকাপাড়া গ্রামের ২২ বছর বয়সী যুবতীর সাথে চামরুল গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে বজলুর রহমানের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী বজলুর ও তার পিতা শাজাহানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যৌতুকের চেয়ে ওই গৃহবধূর উপর নির্যাতন করে আসছিল। এরপর গত ৩০ জুন শুক্রবার রাতে যৌতুকের দাবিতে ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে তার স্বামী বজলুর তার মা সখেলা খাতুনের সহযোগিতায় স্ত্রীর মাথার চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেয়। পর দিন ১ জুলাই শনিবার দুপুরে খবর পেয়ে বাবা চামরুল গ্রামে এসে ওই গৃহবধূকে তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। মান সম্মানের ভয়ে গৃহবধূর পরিবার বিষয়টি গোপনে সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় তারা জিয়ানগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম তালুকদারকে এ বিষয়ে অবগত করেন। পরে সোমবার (১৪ আগস্ট) নির্যাতিতা ওই গৃহবধু নিজে দুপচাঁচিয়া থানায় এসে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলা গ্রহণ করেই তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে তার স্বামী বজলুর রহমান ও শ্বশুর শাজাহান আলীকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনসহ চুল কেটে দেয়ার ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় স্বামী ও শ্বশুর গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন