সিলেটের ওসমানীনগর ও জকিগঞ্জে তিনটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ওসমানীনগরে এক শিশু ও এক কিশোরী ধর্ষিত হয়েছেন। আর জকিগঞ্জে ধর্ষিত হয়েছেন অপর এক কিশোরী। ধর্ষিতা তিনজনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে ওসমানীনগর উপজেলার পড়িয়ারখাই গ্রামের আছাব আলীর বাড়িতে খেলতে যায় পাশের বাড়ির তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু। ওই সময় আছাব আলী শিশুকে ধর্ষণ করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, একই উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের খাপন গ্রামের একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো এক কিশোরী। শিহাব উদ্দিন নামের পাশের বাড়ির এক যুবক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার নির্যাতিতা কিশোরী থানায় মামলা দিলে পুলিশ শিহাবকে গ্রেফতার করে।
অপরদিকে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত বুধবার রাতে জকিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবন্দ গ্রামের এক কিশোরীকে অপহরণ করে আলম নামের এক প্রতিবেশি। চারদিন আটকে রেখে ধর্ষণের পর গত রবিবার রাতে মুন্সীবাজার এলাকায় ওই কিশোরীকে ফেলে যায় আলম। বর্তমানে সে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান নির্যাতিতার বাবা।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সুজ্ঞান চাকমা জানান, ওসমানীনগরে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশু ধর্ষণের ঘটনার আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে জকিগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় এখনো পুলিশের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল