বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে ধুনট উপজেলার সোনাহাটা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঈদের আগের দিন দুপুর ১২টায় উপজেলার সোনাহাটা বাজার এলাকায় এনামুল হকের মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মার্কেটের একটি কারখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে তা মুহূর্তের মধ্যে ৫টি দোকান পুড়ে যায়। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এদিকে, খবর পেয়ে ওই মার্কেট থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ধুনট ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাড়ি নিয়ে পৌঁছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িটি দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা বিলম্বের অভিযোগ তুলে হামলা চালায়। এসময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভাঙচুর ও চালকসহ চারজনকে কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে উপস্থিত জনতা।
আহতরা হলো, ফায়ার সর্ভিসের টিম লিডার সিদ্দিকুর রহমান (৪২), চালক রাসেলুর রহমান (৩৫), কর্মী মাহমুদুল হাসান (৩০) ও রাকিবুল হাসান (৩০)। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে সোমবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
দায়ের করা মামলায় উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুজাউদ্দোলা রিপনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০/৬০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা সুজাউদ্দৌলা রিপন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালিয়ে গাড়িটি ভাঙচুর ও কয়েকজন কর্মীকে আহত করেছে। আমি বিক্ষুব্ধ জনগণকে থামানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু গাড়ি ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনার সাথে আমি জড়িত ছিলাম না।
ধুনট ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ইয়াকুব আলী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অফিস থেকে গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলের দিক রওনা হই। কিন্তু খানাখন্দকে ভারা রাস্তা ও পথিমধ্যে কোরবানি উপলক্ষে পশুর হাট লাগানোর কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বিলম্ব হয়েছে। এতে উপস্থিত জনতা হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুরসহ চার কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭/আরাফাত