শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের লৌহজং চ্যানেলটিতে নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচলের অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ২১টি ফেরির মধ্যে ৪টি ফেরি সচল রেখে কোন রকমে জোড়াতালি দিয়ে যানবাহন পারাপারের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার ভোর থেকে পদ্মার পানি আবারো কমতে থাকায় ফেরি চলাচলে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
তবে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ভারী যানবাহনগুলোকে বিকল্প পথে চলাচল করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকা, কুমিল্লা, কাকলী ও করবী নামের চারটি ছোট ফেরি দিয়ে প্রাইভেট ও মাইক্রোবাসের মতো হালকা যানবাহনসহ যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। নাব্যতা সঙ্কটের কারণে রবিবার রাত থেকে রায়পুরা ও যমুনা নামের ফেরি দুটো প্রায় অর্ধশত যানবাহনসহ লৌহজং চ্যানেলে আটকে যায়। যা মঙ্গলবারও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগষ্ট) থেকে পদ্মার পানি ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকায় এরুটে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো জানান, চ্যানেলটি পুনরায় চলাচলের উপযোগী করার জন্য ড্রেজিং কাজ চলছে। আশাকরি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সচল করা হবে এ নৌরুটটি।
এদিকে, ঘাট এলাকায় প্রাইভেটকারসহ ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক যানবাহন রয়েছে পারাপারের অপেক্ষায়। তবে যাত্রী পারাপারের জন্য ৮৭টি লঞ্চ ও ২ থেকে ৩ শতাধিক সি-বোর্ড রয়েছে। এ গুলি নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।
বিডি প্রতিদিন/৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল