নোয়াখালী সদর উপজেলার ৬নং নোয়াখালী ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। এঘটনায় স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষক মো. সজিবকে (২০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ ভিকটিমকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সুধারাম থানার ওসি (তদন্ত) মো. শাহেদ আলম ও এসআই নেপাল কৃষ্ণ মজুমদার জানান, ঘটনার পরপরই সুধারাম থানা পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ধর্ষক সজিবকে আটক করেছে এবং আজ ভিকটিমকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মো. আলমগীর হোসেনের মেয়ে সৈয়দপুর জেলা সদরের বাসিন্দা হলেও সম্প্রতি ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে সে নোয়াখালী সদরের আবদুল্লাহপুর গ্রামে তার নানার (তালেব আলী বাড়ি) বাড়িতে বেড়াতে আসে। ভিকটিম সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মামা সম্পর্কীয় আহসান উল্ল্যা রিপনের ছেলে বখাটে সজিব ভিকটিমকে ফুসলিয়ে ওই বাড়ির নির্জনস্থানের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ভিকটিমের গলায় চুরি বসিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানাতে বারণ করে ভয় লাগিয়ে দেয়। এতে ভিকটিম ভয়ে আর্তচিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে ঘটনাস্থল থেকে সজিবকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এলাকাবাসী আরও জানায়, ইতিমধ্যে একইভাবে সজিব এলাকায় একাধিক মেয়ের শ্লীলতাহানী করলেও তার ভয়ে এলাকাবাসী নিশ্চুপ ছিলো।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল আমিন বলেন, নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে আর্তচিৎকার করলে ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষক সজিব আটক হওয়ার পর থানায় মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার