নোয়াখালীর হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদসহ পাঁচজনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। বৃহস্পতিবার বিকেলে টাংকির খাল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশন কমান্ডার লে. বোরহান।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ জানান, গত বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ওয়ালী উল্লাহ ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর সমর্থকদের মধ্যে সংগঠিত পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় আজাদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও ২০টির মতো মামলা রয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতার বিরুদ্ধেই অসংখ্য মামলা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী। সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর অনুসারীরা সোনাদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রিয়াজ উদ্দিনকে (২৭) কুপিয়ে ও রগ কেটে হত্যা করে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার রিয়াজের বাবা কোরবান আলী বাদী হয়ে সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌসের স্বামী মোহাম্মদ আলীসহ ১৫৪ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর বুধবার মোহাম্মদ আলীর অনুসারীরা আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ আলী রাতুলের বাসায় হামলা চালালে ১১জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে মাইন উদ্দিন, সাঈদ উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন নামে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য মোহম্মদ আলী বলেন, আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে আমার বাসায় সভা চলাকালে অধ্যাপক ওয়ালী উল্লাহর অনুসারীরা গুলি ছোঁড়ে। এসময় আমার চার কর্মী আহত হয়।
বিডি প্রতিদিন/০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭/আরাফাত