চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানাধীন পাহাড়তলী বাজার সংলগ্ন সড়কে 'চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে' ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে মহিউদ্দিন সোহেল (৪২) নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সোহেল দক্ষিণ খুলশী এলাকার আবদুল বারিকের ছেলে।
এ সময় সোহেলর সহযোগী রাসেল নামে একজনকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সোহেলের কথিত অফিসে আগুন লাগিয়ে দিলে বাজারের পরিস্থিতি থমথমে ছিল। তবে দুপুরের দিকে দোকানপাট খুলতে শুরু করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সোহেল ও তার অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে বাজারে আসা মালবাহী প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছিল। গত রবিবার সে ঘোষণা দেয়, সোমবার থেকে প্রতি গাড়ি ১০০ টাকা করে দিতে হবে এই প্রেক্ষাপটে সকালে পাহাড়তলী স্টেশন রোড বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়।
জাহাঙ্গীর আলম নামে এক স্থানীয় ব্যবসায়ী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাজারের পাশে রেলের দু'টি কক্ষ দখল করে সেখানে অফিস বানিয়েছে সোহেল। সেখানে বসেই তারা চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। সকালে সোহেলের লোকেরা চাঁদার দাবিতে বাজারের ব্যবসায়ী ওসমান খানের ওপর হামলা চালিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দিলে অন্য ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এরপর প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য বাজারে জড়ো হওয়া কয়েক শ' লোক গিয়ে সোহেলের কথিত অফিসে আগুন দেয় এবং সেখান থেকে সোহেল ও রাসেলকে ধরে নিয়ে এসে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাজারে গেলে বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখে পড়ে।’
নগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (ডবলমুরিং) আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনার পর ব্যবসায়ীরা বাজারের দোকানপাট বন্ধ রেখে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। তবে বাধা পেরিয়ে পুলিশ গিয়ে সোহেল আর রাসেলকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন।’
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার