দিনাজপুরের বাজারে আগাম জাতের চাষ করা আলু বাজারে আসতে শুরু করেছে। এতে কৃষকের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগী আলু ব্যবসায়ীরা।
আলু চাষি জমি থেকে আলু তুলতে শ্রমিক খরচ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। আবার জেলার বাইরের ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায়, তারা স্থানীয় মধ্যসত্ত্বভোগী আলু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করে দিচ্ছে। ফলে তাদের চেয়ে বেশী লাভবান হচ্ছেন এ মধ্যসত্ত্বভোগী আলু ব্যবসায়ীরা।
অনেক আলু চাষি জমি থেকে সরাসরি মধ্যসত্ত্বভোগী আলু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করার কারনে তারা বেশি লাভ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।
এবার আলু চাষের মৌসুমের শুরু থেকে অনুকুল আবহাওয়া, কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ, রাসায়নিক সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ থাকায় উচু-নিচু প্রায় সব চাষযোগ্য জমিতে চাষীরা আলু চাষ করছে। মৌসুমের শুরুতে গ্যালোনা, কার্ডিনাল, ডায়মন্ড, ষ্টারিজ, ক্যারেজ, লেডিরোসেডা, পেটনিস জাতের আলু কৃষকেরা বেশি করে চাষ করেছে। এখনও আলু চাষ চলছে। এসব জাতের আলুর অধিক ফলন হওয়ায় কৃষকদের আলুর বীজ বোপন করতে কৃষি বিভাগ উৎসাহ দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে দিনাজপুরে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
আলু চাষি রশিদুল আলম বলেন, এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করলে ২০ বস্তা আলু হয়। ২০ বস্তা আলু বিক্রয় করলে ৪০ হাজার টাকা বিক্রয় হবে সব খরচ বাদ দিলেও বিঘায় ৩০ হাজার টাকা লাভ থাকে।
মধ্যসত্ত্বভোগী আলু ব্যবসায়ী মামুন আলী বলেন, আমরা কৃষকের জমি থেকে কম দামে আলু কিনে জমি থেকে ভ্যানে করে নদীতে নিয়ে এসে ধুয়ে বস্তা করি। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রয় করি। এখানে শ্রমিক খরচ দিয়েও মোটমুটি ভালো লাভ হয়।
বিন্যাকুড়ির খুচরা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানায়, এখন হল্যান্ড (সাদা) বস্তা প্রতি ১১০০-১১৫০ টাকায় এবং দেশী লাল আলু ১২০০-১২৫০টাকায় কিনে বিক্রয় করলে বস্তা প্রতি ২০০-২৫০ টাকা লাভ থাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৪০ হাজার ৯৯৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উৎপাদনে ফলন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯০২ মেট্রিক টন। আগাম জাতের চাষের আলু বাজারে আসলেও এখনও আলু চাষ চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল