নাটোরে কৃষি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে মঙ্গলবার এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুইজনের জরিমানা ও দু’টি মাটি কাটা মেশিন জব্দ করা হয়েছে। জেলার গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনির হোসেন জানান, চাপিলা ইউনিয়নে প্রায় চার হাজার পুকুর থাকার পরেও সেখানে আবাদি জমি নষ্ট করে নতুন ভাবে পুকুর খননের মাধ্যমে কৃষি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই চাপিলা ইউনিয়নে প্রায় ছয়শ’ কৃষি জমি মাটি কাটা মেশিন দিয়ে খনন করে পুকুর করা হয়েছে। এলাকায় প্রভাবশালীদের কারণে অতিরিক্ত পুকুর খনন করায় দরিদ্র কৃষক পরিবার তাদের জমিতে ফসল চাষাবাদ করতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়াও বর্ষার সময়ে বৃষ্টির পানি বের হতে না পেরে এলাকার নীচু জমি ও রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এতে করে গুরুদাসপুর এলাকার সাধারণ মানুষের চলাচল ব্যহত হচ্ছে।
পুকুর কাটা বন্ধে নাটোরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. শাহরিয়াজের নেতৃত্বে বড়াইগ্রামের জোয়াড়ী ও গুরুদাসপুরের চাপিলা ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক দু’টি অভিযান চালানো হয়।
এসময় জোয়াড়ী থেকে কৃষি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খননের অভিযোগে খোরশেদ মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে গুরুদাসপুরের চাপিলা ইউনিয়নে একই ভাবে কৃষি জমিতে পুকুর খননের দায়ে আব্দুস সামাদ নামে এক ব্যক্তির ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও দু’টি মাটি কাটা মেশিন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে নিয়ম মাফিক মামলাও দায়ের করা হয়েছে। অভিযানের সময় চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে পুকুর খনন বন্ধে স্থানীয় এলাকাবাসীদের সাথে জেলা প্রশাসক এক মতবিনিময় করেন।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. রেজ্জাকুল ইসলাম ও সভাপতিত্ব করেন গুরুদাসপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনির হোসেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার