দায়িত্বহীনতা, অবহেলা আর সমন্বয়ের অভাবে দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানটি এখন সৌন্দর্যহীন হয়ে পড়ার উপক্রম। এখানের মিনি চিরিয়াখানার দৃষ্টিনন্দন কিছু চিত্রা হরিন এবং দেশের একমাত্র বিলুপ্তপ্রায় নীলগাইটিকে দেশের অন্যত্র নেয়া হচ্ছে- এমন খবরে আগত স্থানীয় দর্শনার্থীরা বিষ্মিত হয়েছেন। এটা করা হলে দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানে দর্শনার্থী শুন্য হয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে।
অথচ স্থানীয় দর্শনার্থীসহ পর্যটকদের আকর্ষণে রামসাগর জাতীয় উদ্যানে গড়ে তোলা হয় মিনি চিরিয়াখানা। চিরিয়াখানায় মায়াবী চিত্রা হরিন ছাড়াও অজগড় সাপ, বানরসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি রাখা হয়। এ ছাড়াও দেশের বিলুপ্তপ্রায় একমাত্র পুরুষ নীলগাইটি এখানে রয়েছে। এতে দিন দিন রামসাগর জাতীয় উদ্যানটি প্রাকৃতিক পরিবেশে পরিপূর্ণ হয়ে উঠছিল। তাই দর্শনার্থীসহ পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
বনবিভাগের তিন দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান জানান, খাওয়ানো, দেখাশুনা করাসহ পশু চিকিৎসক না থাকায় দেশের একমাত্র বিলুপ্তপ্রায় নীলগাইটিকে চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে এবং ৯টা চিত্রা হরিনকে সিলেটের একটি ইকো পার্কে নেওয়া হচ্ছে।
দর্শনার্থী আকবর আলী, মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে রামসাগর দেখার জন্য আসি। আর ওই নীলগাই কিংবা হরিনসহ পশুপাখি যদি এখানে না থাকে তাহলে আসবে কেন মানুষ ? বরং এটা আরও পর্যটকদের আকর্ষণে পশুপাখিদের খাওয়ানো, দেখাশুনা করাসহ পশু চিকিৎসক রাখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হউক। বিলুপ্তপ্রায় নীলগাইয়ের বংশবিস্তারে প্রজননের ব্যবস্থা করা হউক। এতে পর্যটক আরও বেড়ে যাবে।
দিনাজপুর সদরের রেঞ্জার ও বিরল উপজেলা বনবিট কর্মকর্তা ও রামসাগর জাতীয় উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক সাদেকুর রহমান জানান, দেশের বিলুপ্তপ্রায় একমাত্র পুরুষ নীলগাইটিকে চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নেওয়া হচ্ছে। তবে দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। আর ২/১দিনের মধ্যে ৯টি চিত্রা হরিন সিলেটের এক ইকো পার্কে নেওয়া হচ্ছে। এখানে ৫৬টি চিত্রা হরিন রয়েছে। এসব উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করা হচ্ছে বলা জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল