বগুড়ার শেরপুরে করতোয়া নদীতে ডুবে মারা যাওয়া বাবা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের পর নিখোঁজ ভাতিজা অপুর্ব কুমার বুদার (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ডুবে যাওয়ার স্থান থেকে চার কিলোমিটার ভাটিতে ছোট ফুলবাড়ি গ্রামের বৈরাগী দহ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
বুদা গাড়িদহ ইউনিয়নের চন্ডিজান গ্রামের উজ্জল কুমারের ছেলে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে চন্ডিজান গ্রামের চন্দন কুমার তার মেয়ে কিরণ মালা ও ভাতিজাকে নিয়ে করতোয়া নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে যান। ঘটনার ঘণ্টা খানেক পর বাবা-মেয়ের মরদেহ পাওয়া গেলেও চন্দনের ভাতিজা বুদা নিখোঁজ থাকে। পরে গ্রামের লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা নদীতে তল্লাশি শুরু করেন।
এদিকে করতোয়া নদীর তীরে চন্ডিজান মহাশ্মশানে এক সঙ্গে তিনজনের মরদেহ সৎকার করা হয়। চন্দনের মরদেহ দাহ করা হয় এবং দুই ভাই বোন কিরণ মালা ও বুদাকে একই শ্মশানে সমাধি দেয়া হয়।
বগুড়ার শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রতন হোসেন জানান, ‘নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর ফায়ার সার্ভিসের অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন