দুপুরের খাবার খেয়ে দুয়ারে খেলছিল শিশু নোমান। মাকে না দেখে ঘরে এসে চিৎকার করে উঠে সে। তার চিৎকার শুনে এগিয়ে আসে দাদা মনসুর শেখ। তিনি দেখতে পান পূত্রবধু হাসিনা বেগম (৩৫) ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে গলায় উড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলে আছে।
পরে প্রতিবেশিদের সহায়তায় তাকে নামিয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনার বর্ননা দেন হাসিনার শ্বশুর মনসুর শেখ।
ফরিদপুরের চরভদ্রসনে আজ শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কে এম ডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হাসিনা বেগম ওই গ্রামের শেখ আলাউদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী একই গ্রামের শেখ মনসুরের ছেলে আলী আকবর। আলী আকবর ও হাসিনা পরস্পর চাচাতো ভাইবোন। ১০ বছর আগে পারিবারিক মতে তাদের বিয়ে হয়। গত ছয় বছর ধরে আলী আকবর সৌদি প্রবাসী। গত ১০ মাস আগে তিনি সর্বশেষ বাড়ি এসে ছিলেন। তাদের একমাত্র সন্তান নোমানের বয়স পাঁচ বছর।
আলী আকবরের বড় ভায়ের স্ত্রী রাফেজা বেগম জানান, হাসিনার সাখে আলী আকবরের সম্পর্ক ভালোই ছিল। তবে গত কিছুদিন ধরে আলীআকবর বাড়ি খোঁজ খবর বিশেষ একটা রাখতেন না। ফোনও বেশি করতো না স্ত্রীকে। স্বামীর এ পরিবর্তনে হাসিনা বিসন্ন অবস্থায় সময় কাটাতেন।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)হারুন অর রশিদ বলেন, পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। শনিবার সেটি ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ