সেচ খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছে সোলার প্যানেলে। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বগুড়ার সোনাতলাসহ কয়েকটি উপজেলায়।
প্রায় ৭ বছরে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার প্রায় ৫০টি স্থানে স্থাপন করা হয়েছে সালেক সোলার ওয়াটার পাম্প। এছাড়া জেলার গাবতলী, সারিয়াকান্দিতেও সোলার ওয়াটার পাম্প রয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ও ইডকলের তদারকিতে এসব সোলার স্থাপিত হওয়ায় উপকৃত হচ্ছেন কৃষকরা। যে সকল এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই সেসব এলাকার গ্রামীণ কৃষকদের স্বল্প খরচে সেচ সুবিধা দিচ্ছে সোলার ওয়ারটার পাম্প।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত ইনফ্রাস্টট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) তদারকিতে সালেক সোলার লিমিটেড উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করেছে এই পাম্পগুলো। এই পদ্ধতির সেচ ব্যবস্থার সুফল পেয়ে কৃষক ঝুঁকে পড়েছে এই ব্যবস্থার দিকে।
সোনাতলা উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের তোজাম্মেল হোসেন, শাখিলা এলাকার নজরুল ইসলাম, উত্তর কালাইহাটা গ্রামের জাহিদুর রহমান, তেকানী এলাকার এনামুল কবীরসহ অনেকে জানান, ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতে গেলে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে। উৎপাদিত ধানের চার ভাগের এক ভাগ দিতে হয় মেশিন মালিককে। অপর দিকে সালেক সোলার ওয়াটার পাম্পের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিলে ইরি-বোরো কিংবা আমন মৌসুমে বছরে বিঘা প্রতি ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকা দিতে হয়। আর আমন মৌসুমে প্রতি শতকে ৭শ থেকে ৮শ টাকা দিতে হয়।
সালেক সোলার ওয়াটার পাম্প লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সালেক মিয়া জানান, বর্তমান সরকার উন্নত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রতিনিয়ত আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করছে। শতকরা ৮৫ ভাগ কৃষক সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত। তারা যাতে স্বল্প খরচে ফসল উৎপন্ন করতে পারে এজন্য সোলার ওয়াটার পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এতে কৃষকের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন