লালমনিরহাটে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতাকর্মীরা পদযাত্রা করেছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা ও নদী রক্ষার দাবিতে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’-এর উদ্যোগে লালমনিরহাটে পদযাত্রা এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
রবিবার দুপুরে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। এর আগে জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড়ে অবস্থিত জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় ‘হামার বাড়ি’ থেকে নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতাকর্মীরা একটি পদযাত্রা বের করেন। পদযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, তিস্তা নদী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করায় নদীটি প্রায় মরা খালে পরিণত হয়েছে। ফলে রবি মৌসুমে পানি সংকটে কৃষকরা চাষাবাদে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, শুষ্ক মৌসুমে তীব্র পানির অভাব দেখা দিচ্ছে এবং বর্ষায় ভয়াবহ বন্যায় তিস্তা অববাহিকার বিস্তীর্ণ জনপদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘তিস্তা শুধু একটি নদী নয়, এটি উত্তরাঞ্চলের মানুষের প্রাণ। এই নদী টিকিয়ে রাখা মানে লাখো মানুষের জীবন, কৃষি ও পরিবেশ বাঁচিয়ে রাখা।’
এ সময় আন্দোলনের মুখপাত্রের পক্ষে সমন্বয়ক একেএম মমিনুল হক, এবিএম ফারুক সিদ্দিকী, আফজাল হোসেন, সায়েদুল ইসলাম পাটোয়ারী সাজুসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল