নসিংদীতে পৃথক স্থানে ডাকাতের হামলায় ও চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ মরদেহ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে জেলার পলাশ উপজেলার সেকান্দরদী গ্রামে ও শিবপুর উপজেলার তেলিয়া গ্রামে এ ঘটনা দু'টি ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, পলাশ উপজেলার সেকান্দরদী গ্রামের বেলায়েত হোসেন এর ছেলে রেজাউল করিম বিজয় (২০) ও শিবপুর উপজেলার তেলিয়া গ্রামের আবুল হাশেম এর ছেলে জাকির হোসেন (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাত দেড়টার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একদল ডাকাত পলাশের সেকান্দরদী গ্রামের বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাতরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে বেলায়েতকে মারধর করে আহত করে লুটের চেষ্টা চালায়। এসময় তার ছেলে রেজাউল করিম বাবাকে বাঁচাতে এক ডাকাতকে ঝাপটে ধরলে ডাকাতরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে রাতেই আহত বাবা-ছেলেকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছেলে রেজাউলকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত পিতা বেলায়েতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে, শিবপুর উপজেলার তেলিয়া গ্রামে রাত তিনটার দিকে চোর সন্দেহে জাকির হোসেন (৩০) নামে একজনকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। পরে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় তুহিন, নাজমুল ও আমির হোসেন নামে তিনজনকে আটক করে পলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, নিহত জাকির একজন পেশাদার চোর। এর আগে কুন্দারপাড়ার চুরিতে সে জড়িত ছিল। সোমবার রাতে মোবাইল চুরি করতে গেলে এলাকাবাসী ধরে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। এ ঘটনায় থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন