নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ছোট শরীফপুর থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধারকৃত শিশু এমরানকে পাশবিক কায়দায় বলাৎকারের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
নিহত এমরান ওই গ্রামের সামছুল হকের ছেলে। সে স্থানীয় ছয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ওই শিশুটিকে হত্যার জন্য হত্যা করা হয়নি। চারজন মিলে পাশবিক কায়দায় বলাৎকার করলে সে অনেকটা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তার শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্থানীয় একটি পরিত্যক্ত দোকান ঘরে প্লাস্টিকের মাছের ঝুড়িতে রেখে দেয়। গত রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) মো. ওয়াসিম আকরাম নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শোয়েব উদ্দিন খানের কাছে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী থেকে এসব লোমহর্ষক তথ্য উঠে আসে।
জানা যায়, গত ২২ আগস্ট নিখোঁজ হয় ছয়ানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র এমরান। পরে তার বাবা বেগমগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই জিডির সূত্র ধরে পুলিশ এমরানকে উদ্ধারের চেষ্টা করে এবং ২৫ আগস্ট ছয়ানী বাজারের সহিদের পরিত্যক্ত দোকান ঘর থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় এমরানের মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর পুলিশ এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা গ্রহণ করে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় এবং গত রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) মো. ওয়াসিম আকরাম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার