পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বনের মধ্যেই অবৈধভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে স্থাপনা। উপজেলার মহিপুর থানা বনবিভাগ অফিসের সামনে মাত্র ১৫ গজ দূরে ওইসব স্থাপনা তোলা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছে নিরবে। এছাড়া মহিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া আসার রাস্তার দুই পাশ দখল করে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে বনবিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে একাধিক এসব স্থাপনা নির্মাণ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কাজ। ইতোমধ্যে বনের মধ্যে ৮ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আরো কয়েকটি ঘর তোলার জন্য পায়তারা চলছে। এদিকে একটি প্রভাবশালী মহল ঘর প্রতি ৩০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে বলে এমন অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
অবৈধ ঘর নির্মাণকারী খাদিজা বেগম জানান, তারা গরীব মানুষ। থাকার জায়গা নাই। খালি জায়গা পেয়ে ঘর তুলছেন তিনি। তিনি ছাড়াও আরো ৭টি ঘর তৈরি করেছে স্থানীয় কয়েকজন। ঘর তৈরি করতে কাউকে কোন টাকা দেয়া হয়নি। আর কেউ বাধাও দেয়নি। খাদিজা বেগম আরো বলেন, শুধু তিনিই নয়, বনবিভাগ ও পাউবো’র জায়গায় পূর্বে আরো কয়েক’শ ঘর তুলেছে স্থানীয়রা।
মহিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য নিমাই চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, শিশুদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার জন্য টাকা খরচ করে রাস্তা করা হয়েছে। সেই রাস্তার দুই ধার দখল করে অবৈধ ঘর তুলেছে কয়েকজন। এতে বিদ্যালয়ে শিশুদের চলাচলে প্রভাব পড়বে।
এ বিষয়ে মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বনবিভাগের জমিতে কেউ ঘর তোলেনি। যে জায়গায় ঘর তোলা হচ্ছে ওই জমি তাদের নয়।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মাদ অলিউজ্জামান জানান, অবৈধ স্থাপনা তোলার খবর পেয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য অফিসের লোক পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল