নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা থেকে শিরিন সুলতানা ফেন্সী (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী ইমাম হোসেন ও শ্বশুর হুমায়ুন কবির কাউছারকে আটক করেছে পুলিশ। স্বামীকে আটক দেখালেও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। শিরিন সুলতানা ফেন্সী সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের ইমাম উদ্দিনের মেয়ে এবং বসুরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড সারেং বাড়ীর ইমাম হোসেনের স্ত্রী।
নিহতের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালে ইমামের সাথে ফেন্সীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইমাম ফেন্সীকে মারধর করতো। গত কিছুদিন আগে ইমাম পুনরায় আর একটি বিয়ে করে। এ বিষয় নিয়ে ফেন্সীকে প্রায় মারধর করতো ইমাম হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে ইমাম ও তার পরিবারের লোকজন ফেন্সীকে হত্যা করে লাশ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের পারিবারিক বিরোধ ছিলো বলে জানা গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে হত্যার কারণ জানা যাবে। ঘটনায় তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল