তরমুজের ভেতরের অংশ সাধারণত লাল রংয়ের হয়ে থাকে। তরমুজের বাহিরের অংশ যে রংয়ের হোক না কেন ভেতরে লাল থাকে। কিন্তু সোমবার দুপুরে গোদাগাড়ীর কৃষক মনিরুজ্জামান নিজের উৎপাদন করা হলুদ রংয়ের তরমুজ খাওয়ালেন রাজশাহী কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
উপরে সবুজ ও ডোরাকাটা রংয়ের তরমুজ হলেও ভেতরে শর্শে ফুলের মতো হলুদ। থাইল্যান্ডের এই জাতের তরমুজ মনির রাজশাহী গোদাগাড়ীর চৈতন্যপুরে উৎপাদন করছেন। এখন বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে। বারো মাস তরমুজ উৎপাদন করে মানুষের মাঝে দিতে পারছেন বলে খুশি মনির।
রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হবিবুর রহমান এই হলুদ রংয়ের তরমুজ কেটে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের খাওয়ান।
এ সময় তিনি বলেন, মনির একজন বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক। তিনি জনগণের কল্যাণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক অতি স্বল্প পরিমাণে ব্যবহার করে এই ধরনের তরমুজ উৎপাদন করছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য এই তরমুজ নিয়ে আসায় মনিরকে ধন্যবাদ জানান অধ্যক্ষ।
তরমুজ খাওয়া উপলক্ষে কলেজ চত্বরে আয়োজন করা অনুষ্ঠানের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল খালেক, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিডি শামসুল হক, সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজ হাসান ও কৃষক মনিরুজ্জামান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন