ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে রোগী দেখেন হেলাল উদ্দিন ছিদ্দিক। তিনি কখনও আবার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বা কখনও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবেও রোগী দেখেন। এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয়ে গেল কয়েক মাস ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দি শাহজালাল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে রোগী দেখছিলেন তিনি।
সোমবার দুপুরে শহরের রামকানাই স্কুল রোডের ওই বেসরকারি হাসপাতালটিতে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয় যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে হেলালকে আটক করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্দ্বীপ তালুকদার জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন ছাড়াই হেলাল উদ্দিন সিদ্দিক বেআইনিভাবে রোগী দেখছিলেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিএমডিসির সনদ দেখাতে না পারায় তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি বিএমডিসির সনদ পেতে হাইকোর্টে একটি রিটের কাগজ দেখান। সেজন্য তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে হাইকোর্টের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে প্রাইভেট প্রাকটিস করতে নিষেধ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান ও এশনা পাল উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব