গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটার দিকে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম রাজনগর এলাকায় অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মেয়েটি স্থানীয় এক মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ধর্ষণের পর ওই রাতেই গ্রামের গণ্যমান্যদের চাপে ১ লাখ টাকায় ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার শর্তে মেয়েটির পরিবারের উপর ভীষণ চাপ দেওয়া হয়।
পরিবার আজ সোমবার বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদকে অবহিত করলে চেয়ারম্যান পুলিশের স্মরণাপন্ন হন এবং বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। আজ দুপুরের পর পুলিশ মেয়েটিকে হেফাজতে নিয়েছে। সর্বশেষ মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ জানিয়েছে। অভিযুক্ত সায়েম (২৫) ওই এলাকার মজিবরের ছেলে ও এক সন্তানের বাবা।
নির্যাতিত মেয়ে, মেয়ের মা ও চেয়ারম্যান সূত্রে জানা গেছে, বেশকিছু দিন আগে মেয়েটির সাথে স্থানীয় যুবক ও একই মাদ্রাসার ছাত্র মাজেদুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘটনার সময় ওই এলাকার এক যুবক সায়েম মাজেদুল সেজে মেয়েটিকে ফোন করে বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে আসতে বলে।মেয়েটি মাজেদুলের সাথে দেখা করতে গিয়ে সায়েমকে দেখতে পেয়ে বাড়ির দিকে আসতে চাইলে সায়েম মেয়েটির মুখ চেপে ধরে পাশে ধান ক্ষেতে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
কিছুক্ষণ পরে মেয়ে বাড়ি ফিরে তার মাকে বিস্তারিত বললে লোকজন বিষয়টি জেনে পেলে। এরপর রাতেই স্থানীয় কয়েকজন ওই এলাকার ইউপি মেম্বার আব্দুল আলীকে ডেকে এনে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ১ লক্ষ টাকা দেয়ার শর্তে মেয়ের পরিবারকে চাপ দেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহীনুল ইসলাম, সম্রাট, ওসামান, খোরশেদ, আজমত আলীসহ অন্তত ১৫ জন।
নির্যাতিত মেয়েটি জানিয়েছে, ঘটনাটি মীমাংসার জন্য শাহীনুল, সম্রাট, আছমত ও ওসমান চাপ দেয়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বছির আহাম্মেদ বাদল জানিয়েছেন, মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ও সালিশদারদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার