আগামী ১০ নভেম্বর থেকে ৩ দিনব্যাপী সুন্দরবনের দুবলারচরে ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হবে। দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের পুণ্যস্নানে নিরাপদে যাতায়াতে জন্য সুন্দরবন বন বিভাগ ৮টি নৌপথ নির্ধারণ করেছে।
সুন্দরবনে চোরা শিকারী ও কাঠ পাচারকারীদের ঠেকাতে এসব নৌপথ দিয়ে ১০ নভেম্বর ভোর থেকে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও কোস্টগার্ডের পাহারায় পুণ্যার্থীরা বন বিভাগের নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে বৈধ পাশ-পারমিট নিয়ে দুবলার চরে রাশ উৎসবে যেতে পারবেন।
এবারই প্রথম সুন্দরবনে রাশ উৎসব চলাকালে ১০ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত পুণ্যার্থী ছাড়া অন্য কাউকে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি দেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুন্দরবনের রাশ উৎসবে যেতে অনুমোদিত ৮টি নৌপথের মধ্যে রয়েছে, ঢাংমারী অথবা চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোন আইল্যান্ড হয়ে দুবলার চর, বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলারচর হয়ে দুবলার চর এবং শরণখোলা স্টেশন-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলারচর হয়ে দুবলার চর।
এছাড়া বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলা নদী-বল নদী-পাটকোস্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর; কদমতলা থেকে ইছামতি নদী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগা দোবেকী হয়ে দুবলার চর; কৈখালী স্টেশন হয়ে মাদার গাং, খোপড়াখালী ভারানী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর; কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর ও নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর।
সুন্দরবন বিভাগ জানায়, রাশ উৎসবের পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থী নির্ধারিত রুটের পছন্দ মতো একটিমাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এবং দিনে চলাচল করতে পারবেন। সুন্দরবন বিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার নোঙ্গর করা যাবে না। প্রতিটি নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলারে গায়ে রং দিয়ে বিএলসি অথবা সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রাপ্ত সনদ সঙ্গে রাখতে হবে।
পরিবেশ দূষণ করে এমন সব বস্তু, শব্দযন্ত্র বাজানো, পটকা ও বাজি ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় যে কোনো অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র বহন থেকে যাত্রীদের বিরত থাকতে হবে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকালীন এই ৩ দিন সব সময় টোকেন ও টিকিট নিজের সাথে রাখতে হবে। প্রতিটি নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলারকে রাস উৎসব প্রাঙ্গণে এসে কন্ট্রোল রুমে বাধ্যতামূলক রিপোর্ট করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল