হবিগঞ্জ সদরের মনুলাল হরিজনের মেয়ে সাথী হরিজন। তার স্বামী রবি হরিজন নোয়াখালীর ছেলে। নোয়াখালী পুলিশ লাইনে ঝাঁড়ুদারের কাজ করেন।
গত বৃহস্পতিবার অপারেশনে সাথী কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। স্ত্রীর সন্তান প্রসবের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবারেই হবিগঞ্জে আসেন রবি। কন্যা সন্তানের মুখ দেখে সোমবার পর্যন্ত থেকে যান হবিগঞ্জেই। রাতে উদয়ন ট্রেনে উঠে রওনা দেন নোয়াখালীতে যাওয়ার জন্য।
মঙ্গলবার ভোরের ট্রেন দুর্ঘটনায় রবি মারা যায়। পরে খবর পেয়ে দুপুরের দিকে ৬ দিনের শিশুকে কোলে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে উপস্থিত হন সাথী হরিজনসহ তার বাবার বাড়ির লোকজন। এখানে এসে তার স্বজনরা রবির লাশ দেখে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়লেও বোবার মতো দাঁড়িয়ে থাকেন সাথী। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
সাথীর স্বজনরা জানান, এ শোক সাথী কি করে সইবে। ৬ দিনের শিশুটি বাবা হারা হলো। মেয়েটি সন্তানের মুখ দেখেই বিধবা হয়ে গেল।
মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা-সিলেট রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেলস্টেশনে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের এ সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক নারী-পুরুষ। হতাহত সবাই উদয়নের যাত্রী।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন