নতুন সড়ক আইন কার্যকরের প্রতিবাদে ও সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলননে সড়ক- মহাসড়ক স্থবির। এর প্রভাব পড়েছে উত্তরাঞ্চলের জেলা নাটোরেও। বেশ কয়েকদিন থেকেই সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন এর পরিমাণ ছিল অল্প। যাদের কাগজপত্র ঠিক নেই এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি সেগুলো চালানো থেকে বিরত ছিলেন মালিক শ্রমিকরা।
বুধবার নাটোরের পার্শ্ববর্তী জেলা বগুড়া, পাবনা, নওগাঁ ও রাজশাহীসহ সারাদেশে শ্রমিকদের লাগাতার ধর্মঘটের কারণে নাটোরেও বন্ধ হয়ে গেছে সকল রুটের যানবাহন। তবে সকালের দিকে বেশ কিছু গাড়ি চলাচল করতে দেখা গিয়েছিল। আন্তঃউপজেলা রুট গুলোর মধ্যে নাটোর-লালপুর ও নাটোর-রাজাপুর রুটে কয়েকটি গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি সিরাজগঞ্জ রুটে কয়েকটি গাড়ি চলছে বলে জানায় শ্রমিকরা।
এদিকে, নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের নাটোরের সিংড়ার বাঁশের ব্রিজ পর্যন্ত কয়েকটি গাড়ি চলাচল করছে বলেও জানান শ্রমিকরা।গাড়ি চলাচল না করায় এবং ট্রাক-কাভার্ডভ্যান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ জনগন। বিকল্প পদ্ধতিতে গন্তব্যে ছুটছেন অনেকেই কিন্তু ভাড়া পড়ছে দ্বিগুণেরও বেশি।
স্থানীয়রা জানান, জনগণের দাবির মুখে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকরা গাড়ি চালাবে না এমন দাবি উঠলেও আজকের শ্রমিকদের আন্দোলন কতটা যৌক্তিক তা পরিমাপের সময় এসেছে। সাধারণরা অনেকেই বলেন ভোগান্তি হলেও আইন বাস্তবায়নের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে সরকার আন্তরিক হবেন, এছাড়া শ্রমিকরা যে সমস্ত দাবি করছেন বিশেষ করে সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি, মিথ্যা হয়রানি বন্ধ করতে পারলে শ্রমিকরা কাজে ফিরবে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে সরকার এগিয়ে আসবে এমনটাই মনে করেন স্থানীয়রা।
এদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনগণকে পরিবহন ধর্মঘটের আড়ালে যে কোনো ধরনের গুজবে কান না দিতে অনুরোধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন