বগুড়ার ধুনটে জমিজমা বিরোধের জের ধরে পল্লী চিকিৎসক ও যুবলীগ নেতা আব্দুস সবুরকে (৩৬) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নিহত আব্দুস সবুরের লাশ উদ্ধারের পর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। নিহত সবুর ধুনট উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও নান্দিয়াপাড়া এলাকার রহিম বকসের ছেলে।
বগুড়া ধুনট থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সবুরের সাথে জমিজমা নিয়ে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের নান্দিয়ারপাড়া এলাকার জনাব আলীর ছেলে নিমগাছী ইউনিয়ন যুবলীগের বহিস্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইমলামের বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার দুপুরে পরিচিত কেউ মোবাইলফোনে পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সবুরকে ডেকে পশ্চিম নান্দিয়ারপাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ির নিয়ে যায়। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সবুরকে ফেলে রেখে যায়। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা সবুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার সময় সে মারা যায়। খবর পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ সবুরের লাশ উদ্ধার করে।
বগুড়ার ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, লাশের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।বগুড়ার ধুনট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শেখ মতিউর রহমান জানান, প্রায় ১০ মাস আগে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় নিমগাছী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে কামরুল ইসলামকে বহিস্কার করা হয়েছে। উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সবুরকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
