হবিগঞ্জে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছে শ্রমিকরা। বুধবার বেলা ১টার পর হঠাৎ তারা জেলার অভ্যন্তরীন সড়ক ও আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে ঢাকা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ। 

তবে এ অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটের কথা স্বীকার করছেন না মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। তারা কেউই ধর্মঘটের ডাক দেননি বলে দাবি করছেন। তারা বলছেন, শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন না।

জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সজিব আলী জানান, এ জেলায় শ্রমিক সংগঠন কোনো ধর্মঘট ডাকেনি। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে ধর্মঘট হওয়ায় শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন।

পরিবহন শ্রমিকরা জানান, সাজার বোঝা মাথায় নিয়ে তারা গাড়ি চালাবেন না। আইনে তাদের সাজা কমাতে হবে। সহজ শর্তে পরিবহন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে। অন্যথায় তারা গাড়ি চালাবেন না।

যাত্রীরা জানান, হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ রাখা ঠিক হয়নি। তারা আগে ঘোষণা দিলে মানুষ জানতে পারতো। টার্মিনালে না এসে ভিন্ন পন্থা খোঁজ করতো। এখন হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়ায় যাওয়ার অন্য কোনো মাধ্যমও এখন পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালে গিয়ে জানা যায়, সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন ধর্মঘট ডাকলেও হবিগঞ্জ ছিল এর ব্যতিক্রম। হবিগঞ্জ থেকে সিলেট ও ঢাকার উদ্দেশ্যে বাসগুলো ছেড়ে গেছে। সব রুটেই গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু দুপুরের পর হঠাৎ তারা সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। পূর্ব কোনো ঘোষণা না থাকায় টার্মিনালে আসা যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম