ঝিনাইদহ শহরের হামদহ সোনালী পাড়ায় রহিমা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার দুই দেবরের বিরুদ্ধে। গৃহবধুকে মারাত্বক আহত অবস্থায় আজ রবিবার দুপুরে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় তার মেয়েকে ব্যাপক মারপিট করা হয়।
এ ব্যাপারে ওই গৃহবধূর মেয়ে সিনথিয়া আক্তার বাদী হয়ে পিতা ও দুই চাচাকে আসামি করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে ইতালি প্রবাসী স্বামী আক্তারুজ্জামান ও তার দুই ভাই মনিরুল মোল্লা এবং সুমন মোল্লা পলাতক রয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশের এসআই পলাশুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ২১ বছর আগে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ সোনালী পাড়ার নয়াব আলীর ছেলে ইটালী প্রবাসী আক্তারুজ্জামানের সাথে গান্না ইউনিয়নের তালিনা গ্রামের কিয়াম উদ্দিন মাস্টারের মেয়ে রহিমা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এ সময়ে তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। দীর্ঘদিন ধরে ইতালি থাকায় আক্তারুজ্জামানের অজান্তে তারই চাচাতো ভাইয়ের ছেলের সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করে যশোর এমএম কলেজে অধ্যায়ত মেয়ে সিনথিয়া আক্তার উকি। এ ঘটনা জানতে পেরে পিতা আক্তারুজ্জামান ইতালি থেকে ফিরে এসে রবিবার দুপুরে তার দুই ভাইকে বাড়িতে ডেকে আনেন।
একপর্যায়ে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্কবির্তকের সৃষ্টি হয়। এসময় আক্তারুজামানের সাথে থাকা দুই ভাই মনিরুল এবং সুমন যোগ দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করেন গৃহবধূ রহিমা খাতুনকে। মেয়ে উকি এসে বাঁধা সৃষ্টি করলে তাকেও মারধর করা হয়। এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ