ঠাকুরগাঁও সদরে ৬ নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ কচুবাড়ী গ্রামের হোটেল শ্রমিক খাদেমুল ইসলামের ছোট মেয়ে শামিমা আক্তার শাম্মী (১৭) দীর্ঘদিন থেকে এক অজানা রোগে ভুগছে। তার ডান পা কিছুটা অকেজো হয়ে গেছে, পায়ের সবটুকু অংশ ফুলে গেছে। কিছু কিছু অংশে পঁচন ধরেছে।
শাম্মী কচুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। বাবা খাদেমুল ইসলাম তার মেয়ের পায়ের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে এখন ব্যর্থ।
শাম্মীর বাবা খাদেমুল ইসলাম জানান, আমার মেয়েটি খুব আদরের ছিলো। মেয়েটিকে আমরা খুব ভালোবাসতাম। ছোট থেকে যখন বড় হলো স্কুলে যাওয়া শুরু করেছিলো। হটাৎ করে দেখি ডান পায়ে সমস্যা ছোট ছোট ঘাঁ ও ফোলা। তখন ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে ডাক্তার শুভেন্দু কুমার দেবনাথ আমার মেয়েকে কিছু ঔষধ, ইনজেকশন দেন এতে রোগের কোন উন্নতি হয়নি। তারপর তিনি ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কার্ডিওরভাসকুল্যার ডিজিস, শ্যামলী, ঢাকা হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলেন। ঢাকায় অনেকদিন ছিলাম অনেক ডাক্তারকে দেখাইছি কোন কাজ হয়নি। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি আমার প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি আর পারতেছিনা যা ছিলো সব শেষ হয়ে গেছে। এখন কোন রকম সংসার চলতেছে। আমি সমাজের বিত্তবান ও সরকারে কাছে সহযোগিতা চাই। মেয়ের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন।
শাম্মীর স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবে। কিন্তু পায়ের জন্য স্বপ্ন ভঙ্গ হতে যাচ্ছে শাম্মীর। অনেক আক্ষেপ করে শাম্মী বলেছে, 'আমার খুব ইচ্ছা ছিলো আমি ডাক্তার হবো, কিন্তু আমি আর পারলাম না। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি সুস্থভাবে বাঁচতে চাই, আমি আমার সহপাঠিদের সাথে খেলাধুলা করতে চাই। আমি পড়াশুনা করতে চাই। কেউ কী পারবে না আমাকে সহযোগিতা করতে।'
বিডি প্রতিদিন/হিমেল