ঠাকুরগাঁওয়ে আবারও শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। গত দুইদিন ধরে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটলেও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে জেলাটি। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে তীব্র ঠান্ডায়। দিনেও রাস্তায় যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দিনমজুর আব্দুল কাদের ও জামাল হোসেন জানান আমরা প্রতিদিনই সকাল বেলা কাজের জন্য ঠাকুরগাঁও শহরে আসি। বাসস্ট্যান্ড শ্রম হাটে দাঁড়িয়ে থাকি। শহরের বিভিন্ন লোকজন এসে বিভিন্ন কাজের জন্য আমাদেরকে নিয়ে যায় । আমরা শহরের বিভিন্ন মানুষের বাসা-বাড়িতে কাজ করি। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে কয়েকদিন ধরে আমরা কাজ করতে পারছি না। কাজ না করতে পারায় আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সারাদিনে কাজ করে যে টাকা উপার্জন করি তা সংসারের কাজে লাগাই। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে আমরা কাজে যেতে পারছি না। এই শীতে আমাদেরকে খুব কষ্টে জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
এদিকে, ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে ঠান্ডাজনিত কারণে ১০১ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে গত ২ দিনে। আরো বিভিন্ন রোগে নারী ও পুরুষ ভর্তি আছেন ২০০ জন।
ঠাকুরগাঁও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শাহা নেওয়াজ বলেন, আমরা রোগীদের পরামর্শ দিচ্ছি। মায়েরা শিশুদেরকে সবসময় গরম কাপড় পরাবেন এবং বুকের দুধ পান করাবেন।
ঠাকুরগাঁও কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব উদ্দীন বলেন, কয়েকদিন থেকে ঠাকুরগাঁও তাপমাত্রা ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন