ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক চিকিৎসককে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এই বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করে শহরের কাজীপাড়া এলাকার যুব সংগঠন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই প্রথম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোনো চিকিৎসককে বিদায় জানানো হয়।
জেলা সদর হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট এম. এ এহসানকে বিদায় সংবর্ধনা দিয়ে তার প্রতি নিজেদের ভালোবাসা প্রকাশ করেছে কাজীপাড়া দরগাহ পুকুরের উত্তরপাড় সমাজকল্যাণ যুব সংঘ।
কাজীপাড়া দরগাহ মাঠে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় চিকিৎসাসেবা প্রদানের মাধ্যমে এম. এ এহসান হয়ে ওঠেন গরিবের ডাক্তার। সরকারি হাসপাতালের ডিউটির পরও রাতে তিনি প্রতিরাতে ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের খোঁজ খবর নিতেন। এমন কি গভীর রাতে রোগীর স্বজনদের ডাকে তিনি ছুটে যেতেন হাসপাতালে। তিনি রোগীদের কথা মনোযোগ সহকারে শুনতেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ব্যবস্থাপত্র লিখতেন। এতে করে তিনি সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেন। বেসরকারি ক্লিনিকে গরিব-অসহায় রোগীদের বিনা পয়সায় দেখেছেন তিনি। পদোন্নতি পেয়ে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি হয়েছেন এই চিকিৎসক।
বিদায় সংবর্ধনার মাধ্যমে মানুষের এই ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হয়ে ডা. এম.এ এহসান বলেন, এই সংবর্ধনা আর ভালোবাসা আমার ডাক্তারি জীবনের সর্বোচ্চ অর্জন। আমার অনেক সহকর্মী আছেন। তারা এমন সংবর্ধনা পেয়েছেন কি-না জানি না। এটি আমার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। সবার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।
কাজীপাড়ার বিশিষ্ট ব্যক্তি মো. মানিক মিয়ার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ ও সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে ডা. এহসানকে সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম