দীর্ঘ ৫ বছর বেশি সময়ের পরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিজারিয়ান অপারেশন থিয়েটার চালু হয়েছে। এর ফলে কলাপাড়াসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার মানুষ স্বল্প খরচে সরকারি হাসপাতালে গর্ববতী নারীরা সিজারিয়ান সুবিধা পাবে। এখন আর ছুটতে হবে না জেলা ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে। গত বুধবার রাত ১০ টার দিকে খুকুমনি নামের একজন প্রসূতি মায়ের সিজারের মাধ্যমে এ অপারেশন থিয়েটার চালু হয়েছে।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার জুনায়েদ হোসাইন খান লেলীনের তত্ত্বাবধানে অপারেশনটি পরিচালিত হয়। এতে এ্যানেসথেসিয়া হিসেবে ছিলেন ডাক্তার মো.শাহিন হাওলাদার (তাহসান) ও ডাক্তার মো.আশ্রাফুল ইসলাম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার জুনায়েদ হোসাইন খান লেলীন বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি থাকা স্বত্ত্বেও ডাক্তার সংকটের কারণে বহু বছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল। সবাইকে প্রাইভেট ক্লিনিকসহ জেলা ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে যেতে হতো। এখন থেকে এ হাসপাতালে সিজারসহ বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করা হবে। বুধবার সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেয়া নবজাতক ও শিশু মা দুজনেই সুস্থ আছেন।
খুকুমনির খালা অরুনা বেগম বলেন, রোগীর অবস্থা খুবই খারপ ছিল। তখন ডাক্তার লেলীনের স্মরণাপন্ন হলে সে সিজারের করার পরামর্শ দেয়। রাত ১০ টার দিকে কলাপাড়া হাসপাতালে খুকুমনির সিজার সম্পন্ন হয়।
নবজাতকের পিতা মো.জাকির হোসেন বলেন, হাসপাতালে সিজার করায় আনেক কম টাকা লেগেছে। এখানে সিজার করাতে না পারলে বরিশাল নিয়ে যেতে হতো। কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা খরচ হতো। এ সুবিধা চালু করায় এলাকার বহু মানুষ উপকৃত হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর কলাপাড়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ডাক্তার মো. আবদুর রহিম। তখন থেকেই পুরোদমে সিজার কার্যক্রম চলছিল। অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তারের দায়িত্ব পালন করেন মো.আবদুল মতিন। ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল ডাক্তার আবদুর রহিম অন্যত্র বদলি হওয়ার পর থেকে এখানে সিজার কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
দীর্ঘকাল ধরে হাসপাতালে একজন অ্যানেসথেসিয়া ও সিজারিয়ান ডাক্তার না থাকায় ওটি বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বর্তমান সরকারের উদ্যেগে প্রতি উপজেলায় পর্যাপ্ত ডাক্তার নিয়োগ দেয়ায় সে সংকট এখন অনেকটা লাগব হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা