ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। হামলার প্রতিবাদ করায় নিরাপত্তা প্রহরী সায়েদ মোল্লাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ এ ঘটনায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিরানন্দ দাসের ছেলে সমীর দাস ও উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের মতিলাল দাসের ছেলে টিটু দাসকে আটক করেছে।
হাসপাতাল সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অসুস্থতার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে টিটু দাসের মা লক্ষী রানী দাসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর বাথরুমে গিয়ে পড়ে যায় লক্ষী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নার্সদের ডিউটি রুমে গিয়ে নার্স কোহিনুর আক্তারকে গালমন্দ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে টিটু দাস। আবাসিক মেডিকেল অফিসার শফিকুল ইসলাম এগিয়ে আসলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ঘটনার পর ওই হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রহরী ডাক্তার ও নার্সকে লাঞ্ছিত করার কারণ জানতে চাইলে তাকে পিটিয়ে জখম করে টিটু ও তার সহযোগীরা। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতাল চত্বরে রাখা আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। স্থানীয়দের সহযোগিতায় দ্রুত আগুন নেভানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই রাতেই নিরাপত্তা প্রহরী সায়েদ মোল্লাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার অভিজ্যিৎ রায় বলেন, আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালের ভেতর ডাক্তার, নার্স ও নিরাপত্তা প্রহরীকে মারধর করা হয়েছে। হাসপাতালে আগুনও লাগানো হয়। যদি সঠিক বিচার না পাই তাহলে আমরা কর্মবিরতিতে যাব। এ ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজিদুর রহমান বলেন, হাসপাতালের এক কর্মচারীকে মারধর, ডাক্তার ও নার্সকে লাঞ্ছিত করাসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগুন দেওয়ার কথা শুনেছি। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ