ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের আটাইল গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় ১০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১২ জন। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রবিবার সকাল ৮টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, নগরকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদারের সাথে ডাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান কালাম কাজীর দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই সূত্র ধরে রবিবার সকালে কালাম কাজীর কয়েকশ' সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। ভাত রান্নার হাঁড়ি থেকে শুরু করে চাল, ডাল লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
হামলায় আহত সলেমান মাতুব্বরের স্ত্রী সানজিদা সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, কালাম কাজীর নেতৃত্বে কয়েকশ ব্যক্তি রামদা, টেটা, লাঠি নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, টাকা, পিয়াজ এমনটি রান্না করার হাঁড়ি-পাতিলও লুট করে নিয়ে যায়। হামলাকারীরা এসময় বাড়ির মহিলাদের লাঞ্ছিত করে। তাদের ভয়ে মহিলারা ঘর থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। হামলাকারীরা বাথরুম ভাঙচুর করে। বাড়ির টিউবয়েলটিও উঠিয়ে নিয়ে যায়। হামলার সময় আহত হয় কমপক্ষে ১২ জন।
আহতদের মধ্যে মারাত্মক অবস্থায় ৬ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
ডাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান কালাম কাজী জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা রবিবার ভোরে লোকজন নিয়ে আটাইল গ্রামে হামলা করতে গেলে আমার সমর্থকেরা তাদের প্রতিরোধ করে। এতে উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন পিছু হটে গেলে কিছু বাড়িতে হামলা হয় বলে শুনেছি। গত কয়েকদিন আগে আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ নিয়ে সেখানে উত্তেজনা চলছিল।
নগরকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান কালাম কাজীর নেতৃত্বে আটাইল গ্রামে আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। এখনো সেখানে কালাম কাজীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। পুনরায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে কালাম কাজীর লোকজন।
নগরকান্দা থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, ঘটনার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার