নরসিংদীর মেহেরপাড়ায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় একটি কারখানার যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার বিরুদ্ধে। আজ রবিবার দুপুরে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সেচ্ছাসেবকলীগের দুই নেতা হলেন নরসিংদী সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক শাহিদ হাসান পাপ্পু, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন সেচ্চাসেবকলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ঈমান হাসান।
জানা যায়, সম্প্রতি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নরসিংদীতে সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক শাহিদ হাসান পাপ্পু ও মেহেরপাড়া ইউনিয়ন সেচ্চাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক ঈমান হাসান সহযোগীদের নিয়ে একটি বাড়ির গ্যারেজে হামলা চালায়। হামলায় নারী-পুরুষসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। দুই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও তাদের সহযোগী সুমন, মিলন ও নুরুনবীসহ ১৫/২০ জন মেহেরপাড়া ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি ও গ্যারেজে হামালা চালায়। এসময় তারা মাইক্রোবাসসহ মোট সাতটি গাড়ি ও বাড়িঘর ভাংচুর করে। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসবক লীগ নেতা শাহিদ হাসান পাপ্পুসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করেন আরকে টেক্সটাইল মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তফা মিয়ার চাচতো ভাই সাদ্দাম হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পাপ্পু। গত ৩১ ডিসেম্বর জামিনে বেরিয়ে আসেন পাপ্পুর ৭ সহযোগী। এলাকায় জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও তারা আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সাদ্দামের চাচতো ভাই আরকে ট্রেক্সট্রাইলের মালিক মোস্তাফা মিয়ার কারখানায় যাতায়াতের রাস্তায় গাছ ও বাঁশ দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়।
আরকে ট্রেক্সট্রাইলের মালিক মোস্তাফা মিয়ার অভিযোগ, শনিবার রাতে পাপ্পু ও ঈমান তাদের সহযোগী সুমন, মিলন ও নুরনবীকে আমার কাছে পাঠিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি তাদের চাঁদা দেয়নি বলে আমার মিলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন কোন গাড়ি আমার মিলে প্রবেশ করতে পারছে না।
খালপাড় গ্রামের সাদ্দাম হোসেন বলেন,পাপ্পুর নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতে হামলা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়ায়, সে আমাদের উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়। জামিনে এসে এখন প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমরা তাদের হাত থেকে বাঁচতে চাই। এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক শাহিদ হাসান পাপ্পুকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক