যশোর শহরের পোস্টঅফিস পাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অপহৃত এক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন যশোর শহরের জেল রোড এলাকার জাহিদুল ইসলাম, ফতেপুর এলাকার নয়ন, শেখহাটি বাবলাতলা এলাকার রাব্বি হোসেন সাদ্দম, সার্কিটহাউজ পাড়ার গোলাম রসুল, পোস্টঅফিস পাড়া এলাকার শওকত হোসেন আপন, ষষ্ঠীতলা পাড়া এলাকার মানিক মন্ডল এবং পাবনার ঈশ্বরদী থানার পিয়ারখালী এলাকার নূর ইসলাম সনি।
যে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভিক্টিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের আটক করা হয় সে বাড়িটি যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর হাজী সুমনের মালিকানাধীন। আজ সোমবার দুপুরে যশোর ডিবি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মোবাইল ফোনের পুরানো মালামাল বিক্রির কথা বলে গত ৪ জানুয়ারি সকালে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের ব্যবসায়ী কহিদুল ইসলামকে যশোর ডেকে আনেন নয়ন ও নূর। তিনি যশোর পৌঁছালে তার পূর্ব পরিচিত নয়ন ও নূর ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত যশোর পৌরসভার ৬ ন্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আলমগীর হোসেন ওরফে হাজী সুমনের মালিকানাধীন শহরের মাইকপট্টিস্থ একটি বাড়িতে আটকে রেখে তাকে মারধর করে। পরে কহিদুলের বড়ভাই রাশিদুল ইসলামের কাছে তারা মুক্তিপণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দাবি করে।
এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, রাশিদুলের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি তার ফোর্স নিয়ে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাইকপট্টি এলাকায় অভিযান চালান। এসময় ওই বাড়ি থেকে কহিদুলকে উদ্ধার ও মুক্তিপণ দাবিকারী দু’জনকে আটক করা হয়। পরে এ দু’জনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরও ৫ জনকে আটক এবং তাদের কাছ থেকে নগদ ১৮ হাজার টাকা, তিনটি ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, একটি ব্যাংক চেক, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম, বেশকিছু পুরাতন মোবাইল ফোনের মাদারবোর্ড ও সার্কিট জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ