দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের উভয় দিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল। তাই দিন দিন হিলি ইমিগ্রেশন দিয়ে পারাপার বাড়ছে ভারত-বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের। বেড়েছে সরকারের রাজস্ব। চলতি অর্থ বছরের গত ৬ মাসে ভ্রমণ খাত থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। কিন্তু বাড়েনি সেবার মান, প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে পাসপোর্ট যাত্রীদের।
ভারত-বাংলাদেশের পাসপোর্ট যাত্রীদের পারাপারে একটি রাস্তা রয়েছে। আর এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের পণ্য পরিবহনের ট্রাকগুলি। সে সাথে রয়েছে রেল ক্রসিংও। টাকা জমা দেয়ার নেই কোনো বুথ।
তবে আলাদা রাস্তা করাসহ এসব সমস্যা দূর হলে যাত্রীর সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ভারতের বিভিন্ন স্থানের সাথে হিলির সড়ক ও ট্রেন যোগাযোগ ভালো হওয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত।
যাত্রীরা বলেন, হিলি ইমিগ্রেশনে যাত্রীর তুলনায় পর্যাপ্ত বসার জায়গা, টয়লেট ও ভালো খাবারের কোনো ক্যান্টিন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। এখানে বসার জায়গা নেই, কোনো ব্যাংক নেই। অতিরিক্ত যাত্রী হলে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
হিলি ইমিগ্রেশন ওসি মো. সেকেন্দার আলী জানান, ব্যাংক কাছে নেই, যেতে হয় দেড় কিলোমিটার দূরে। যাত্রীদের সেবার মান আরো বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান।
উল্লেখ্য, হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, চলতি অর্থ বছরের গত ৬ মাসে এ ইমিগ্রেশন দিয়ে ১ লাখ সাড়ে ১৭ হাজার ৫৩৬ জন পাসপোর্টধারী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন। যা থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল