খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৫ মার্চ) রাতে ওই রোগীর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশ।
তিনি জানান, নিহত ব্যক্তির বয়স ৩০ বছরের মতো। বুধবার দুপুর ২টার দিকে শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসলে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। পরে রাতেই তার মৃত্যু হয়। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছে স্বজনরা।
করোনার লক্ষণ দেখে সন্দেহ হওয়ায় মৃত ব্যক্তি থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় আজ বৃহস্পতিবার পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সদর হাসপাতালের আর.এম.ও ডাক্তার পূর্ণ জীবন চাকমা। তিনি জানান, মৃত ব্যক্তির নিকটাত্মীয় বলে কেউ নেই। তাকে এলকাবাসী হাসপাতালে এনে ভর্তি করিয়েছিল। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ২ চিকিৎসকসহ ২ নার্স ও ১ আয়াকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, খাগড়াছড়িতে মাত্র ২০০ পিপিই পাঠানো হয়। যা ১০টি করে ৯টি উপজেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখানে পিপিই সঙ্কট রয়েছে। মৃত ব্যক্তির নমুনা রিপোর্ট এলে জানা যাবে আসলে কি হয়েছে। তাই তিনি কাউকে এখনই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। মরদেহ যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে নিহতের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ